ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ কলেজে। জানা যায় গত ৩০ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৩ টা নাগাদ নিরাপত্তারক্ষীদের নজর এড়িয়ে তুফানগঞ্জ মহাবিদ্যালয়ে ঢোকে প্রাক্তণ ছাত্র তাপস দাস।সেদিন কলেজ চলাকালীন এই যুবক চলে যায় কলেজের দোতালায়। সেখানে গিয়ে তারই পূর্বপরিচিত কলেজের এক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীকে জোর করে ট্রেনে নিয়ে যায় কলেজের গ্রন্থাগারে পাশে একটি ফাকা ক্লাস রুমে। সেখানে ক্লাসরুমের দড়জা বন্ধ করে বলপূর্বক ধর্ষন করে, সেখান থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত তাপস দাস। পরে মেয়েটি কোনরকমে বান্ধবীদের সহায়তায় বাড়ি ফেরে। প্রথমদিকে লজ্জা ও ভয়ে ধর্ষণের ঘটনা জানায়নি পরিবারের লোকেদের।
গোপনাঙ্গ দিয়ে রক্তপাত বন্ধ না হওয়ায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে। এভাবে রক্তপাত দেখে চিকিৎসকদের সন্দেহ হয়। এরপরই মেয়েটিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পরিবারের লোকেরা। তখন মেয়েটি তাঁর মাকে জানায় ধর্ষণের ঘটনা। এরপরই শুক্রবার রাতে মেয়েটির পরিবারের লোকেরা তুফানগঞ্জ থানায় তাপস দাসের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায় করে।
ঘটনাটিকে ঘিরে ব্যপক নিন্দার ঝড় উঠেছে শহরজুড়ে।এই প্রসঙ্গে তুফানগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশীষ চ্যাটার্জী বলেন, কলেজ চলাকালীন কলেজের ভেতরে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষনের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। কলেজের নিরাপত্তাব্যবস্থা ত্রুটির কারণেই হয়ত এতবড় ঘটনা ঘটে গেল যা কখনোই কাম্য ছিল না। তিনি চাইছেন অভিযুক্ত যুবকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।
তুফানগঞ্জ কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি অনন্ত কুমার বর্মা বলেন, কলেজে যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে তাঁর জন্য কলেজে নজরদাড়ি বাড়াতে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হবে। জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমার বলেন, কলেজের ভেতরে ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দায় করা হয়েছেনির্যাতিতার পরিবার ও তুফানগঞ্জ কলেজ থেকে ।সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই যুবকটির খোজে জোড় তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
0 মন্তব্যসমূহ