সমস্যায় কালচিনি ব্লকের জয়ন্তী এলাকার পর্যটন ব‍্যবসায়ীরা।



সমস্যায় কালচিনি ব্লকের জয়ন্তী এলাকার পর্যটন ব‍্যবসায়ীরা । প্রায় একমাস বন্ধ থাকার পর গত ৩ ফেব্রুয়ারি পুনরায় খুলেছে রাজ্যের সকল পর্যটন কেন্দ্র। তবে পর্যটন কেন্দ্র খুলেও বন দফতরের নতুন সিদ্ধান্তে মাথায় হাত বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের অন্তর্গত গ্রাম জয়ন্তীর পর্যটন ব্যবসায়ীদের। বন দফতরের তরফে বলা হয়েছে জয়ন্তীতে কোনো পর্যটক রাত্রিবাস করতে পারবে না, সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত তারা সেখানে সময় কাটালেও, রাত্রিবাস করতে পারবেন না। এরপরই বন দফতরের এই সিদ্ধান্তে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকার পর্যটন ব্যবসায়ী ও পর্যটকেরা। এছাড়াও, স্থানীয় প্রশাসন ও জয়ন্তী গ্রাম সভাকেও এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি বলে জানান, তাদের সদস্যরা।

এ বিষয়ে জয়ন্তী গ্রাম সভার সভাপতি কোমল বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, 'আমাদের বিরুদ্ধে এটা একটা চক্রান্ত করা হচ্ছে। দ্রুত যদি এই সমস্যার সমাধান না হয় তাহলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবো।'

এলাকার হোমস্টে মালিক জগদীশ ওঁরাও বলেন, 'বন দফতরের এই সিদ্ধান্তের কারনে আমরা বেকার হয়ে পড়বে। ' এছাড়াও, তিনি বলেন, আমাদের রুজি রোজগার ঠিক থাকলে পরিবেশও ঠিক থাকবে। কারন আমরা ছোট থেকেই পরিবেশকে রক্ষা করে আসছি। তাই এখনও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত জয়ন্তী।'

উত্তর ২৪ পরগনার হালি শহর থেকে জয়ন্তীতে বেড়াতে আসা পর্যটক আশীষ চৌধুরী বলেন, 'জয়ন্তীর মতো বিশেষ জায়গাতে পর্যটকেরা মূলত রাত্রিবাস করতেই আসেন। বন দফতরের এই নিষেধাজ্ঞার ফলে পর্যটকদেরও স্বাভাবিক ভাবে মন খারাপ।'

এছাড়াও এই বিষয়ে রাজা ভাতখাওয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ববি লামা বলেন, 'এটা বন দফতরের গাফিলতি, তারা এত বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তবুও প্রশাসনকে জানানোর প্রয়োজন মনে করেননি। এই নিষেধাজ্ঞার কারণে তো এখানের ব্যবসায়ীদের রুজি রোজগারে টান পরে যাবে।

অন্যদিকে, এদিন রাজা ভাতখাওয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, জয়ন্তী গ্রাম সভার তরফে রেঞ্জারকে এই সিদ্ধান্তের জবাব চেয়ে মাস পিটিশন দেওয়া হয়েছে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ