পূর্ণিমা চাঁদের আলোতে চা পাতা তুলেন শতাধিক শ্রমিক।


চাঁদনি রাতের জোছনা মাখা চা পাতায় তৈরি 'চা' আন্তর্জাতিক বাজারে ও মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে ডুয়ার্সের আলিপুরদুয়ার শুরু হল 'মুনলিট টি' উৎপাদন। সারারাত  চাঁদের আলোয় চা গাছ থেকে ছিঁড়ে আনা সেই দুটি পাতা একটি কুঁড়ি দিয়ে তৈরি চা। জোছনারাতে বাগানের অন্ধকার ঘোচাতে যেমন রয়েছে চাঁদের আলো তার পাশাপাশি জ্বালানো হয়েছে শয়ে শয়ে মশাল। এরি মাঝে আলিপুরদুয়ারের মাঝেড়ডাবরি বাগানের শতাধিক শ্রমিক গভীর রাতে তুললেন একটি কুঁড়ি দুটি পাতা। ভাগানের ৬.২৩ হেক্টর এলাকা জুড়ে রাতভোর চলল পাতা তোলার কাজ।

চা তো অনেকেই খেয়েছেন এবং খান। সকালে উঠে এক কাপ ধোঁয়া ওঠা গরম চা না হলে সারাদিন যেন ঠিক খাপে খাপে চলে না। চায়ের সম্পর্কে অনেকের অনেক রকম ফ্যাসিনেশন রয়েছে। কিন্তু তা বলে মুনলিট টি খেয়েছেন কখনও? নাম শুনে হকচকিয়ে গেলেও এমন চা-ই আসতে চলেছে বাজারে। 
প্রতি মাসের পূর্ণিমার দিন সূর্যাস্তের পর চাঁদের আলোয় চা গাছের পাতা থেকে তৈরি চা এর বিশেষ সুগন্ধ বা অ্যারোমা তৈরি হয়। যা দিনের বেলা অন্য সাধারণ পাঁচটা দিন তোলা চা পাতার চেয়ে আলাদা। সারারাত চাঁদের আলোয় চা গাছ থেকে ছিঁড়ে আনা সেই দুটি পাতা একটি কুঁড়ি দিয়ে তৈরি চা, যে খায়নি তাঁকে বোঝানো মুশকিল । বিশেষজ্ঞদের মতে, নবাবি আমের মতোই এর রাতের বিভিন্ন সময়ে আলাদা তাৎপর্য রয়েছে।
ডুয়ার্সের মাঝেরডাবরি চা বাগানে শুক্রবার সারা রাত ধরে চলল এই চা পাতা তোলার কাজ। চা বাগান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পাহাড়-তরাইয়ের কিছু কিছু চা-বাগানে এমন প্রচেষ্টা করা হলেও ডুয়ার্সে এই প্রথম মুনলিট টি তৈরি করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে এর মূল্য প্রচুর। তবে তরাইয়ে তৈরি এই চা পাতা বাইরের বাজারে শুধু বিক্রি হলেও এই চা পাতা স্থানীয় বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে চা-বাগান কর্তৃপক্ষের।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ