আলিপুরদুয়ারঃ প্রকাশ্য দিবালকে ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় যুক্ত দোষীকে গ্ৰেপ্তার করল পুলিশ । টাকার জন্যই খুন করা হয়েছে কালচিনির ব্লকের হ্যামিল্টনগঞ্জের ব্যবসায়ী দিলীপ পালকে', শুক্রবার কালচিনি থানায় সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানান জয়গাঁ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, 'গ্রেফতার হওয়া দুই অভিযুক্তের মধ্যে মূল অভিযুক্ত ভরত ছেত্রী (৩৭) এর সাথে দিলীপ পালের বহু বছরের ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল। ভরত দিলীপ পালের থেকেই সিমেন্টের ইটের ব্যবসা করে এবং তার জন্য যাবতীয় বালু-পাথর সে দিলীপের থেকেই ক্রয় করতো। এর মধ্যে দিলীপ পালের ভরত ছেত্রীর কাছে বিশাল অংকের টাকা পাওনা রয়ে গিয়েছিল। সেই টাকার জন্যই ভরত, দিলীপ পালকে খুন করার ছক কোষে।' তিনি জানান, 'তার এই ছকে সে কুশাল ছেত্রী বলে এক ব্যক্তিকেও শামিল করে।ভরত কুশালকে বলে দিলীপ পাল এলাকায় আসলে তাকে কোন মতে কথায় উলঝে রাখতে হবে,এরজন্য ভরত কুশালকে ৩০ হাজার টাকা দেওয়ার লোভও দেখায়। টাকার লোভে সেই পরিকল্পনা মারফতই ১ মে দিলীপ পাল রায়মাটাং বাগান দিয়ে যেতে থাকলে কুশাল দিলীপকে দার করিয়ে তামাক জাত দ্রব্য দেয় এবং তাকে নিজের কথায় উলঝে রাখে, সে সময় সুবিধা বুঝে ভরত পিছন থেকে এসে ধারালো অস্ত্র দিয়ে দিলীপ পালকে এলোপাতাড়ি কোপ দেয়,যার ফলে দিলীপ পালের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।' অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, 'এ ঘটনার পর আমরা তদন্ত শুরু করি এবং ভরত ছেত্রী এলাকা থেকে বাইরে পালিয়ে যায়। তবে আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে আমাদের একটি দল তৈরি করে তাদের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়। এরপর মাসখানেক পর ভরত ছেত্রী এলাকায় ফিরে এলে আমরা তাকে গ্রেফতার করি ও জিজ্ঞাসাবাদে সে এবং কুশল ছেত্রী নিজেদের দোষ স্বীকার করেছেন।'
এ ঘটনায় পুলিশ এই দেড় মাসে একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞেসাবাদ করে। পুলিশ সূত্রে খবর, 'এই ঘটনার মূল অভিযুক্তদেরকে গ্রেফতারের জন্য প্রায় ২০০ জনকে জিজ্ঞেসাবাদও করা হয়। যারপরে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয় দুজন অভিযুক্তদের।এদের মধ্যে কুশান মেচপাড়া চা বাগানের বাসিন্দা ও ভরত গাঙ্গুটিয়ার বাসিন্দা। এরমধ্যে ভরতের বাড়ি থেকে পুলিশ একটি ধারালো অস্ত্রও উদ্ধার করেছে, যা দিয়ে দিলীপ পালকে খুন করা হয়েছে।' উল্লেখ্য গত ১ মে রায়মাটাং চা বাগানে প্রকাশ্য দিবালকে খুন হয়েছিল ব্যবসায়ী দীলিপ পাল।
0 মন্তব্যসমূহ