দুস্থ ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষায় নিজের জীবনের সঞ্চয় দান অবসর প্রাপ্ত ব্যাংক কর্মী।
আলিপুরদুয়ার:- মায়ের ইচ্ছা পূরণে দুস্থ ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার উন্নয়নে নিজের কর্ম জীবনের সঞ্চিত অর্থ ট্রাস্ট তৈরি করে বিদ্যালয় কে দান করলেন অবসরপ্রাপ্ত এক ব্যাংক কর্মী।মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ আলিপুরদুয়ার নেতাজি বিদ্যাপীঠ বিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই উদ্যোগের কথা জানালেন ব্যাংক কর্মী অমলেশ চক্রবর্তী। আলিপুরদুয়ার জংশন ভোলারডাবরীর বাসিন্দা অমলেশ চক্রবর্তী জংশন লিচুতলায় উত্তরবঙ্গ ক্ষত্রিয় গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মী ছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দা হওয়ায় এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক অনটনের সমস্যা তার সবটাই জানা। তাই চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর থেকেই সেই সমস্যা সমাধান নিয়ে তিনি চিন্তাভাবনা শুরু করেন। তিনি তার মায়ের নাম দিয়ে প্রতিভা দেবী ট্রাস্ট তৈরি করে সেই অর্থ সেখানে দান করেন।ঐ ট্রাস্টে তিনি সর্ব মোট ১০ লক্ষ টাকা দান করেছেন। সেই টাকা ট্রাস্টের নামে ব্যাংকে ফিক্স ডিপোজিট করা থাকবে। আর টাকার সুদ থেকেই বিদ্যালয়ের মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের মেধাবী দুস্থ ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চ শিক্ষার জন্য অনুদান হিসেবে দেয়া হবে। এদিন বিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে এই বিষয়ে তাঁর নিজের মনের ইচ্ছে খুলে জানান। তিনি বলেন, 'মা' এর খুব ইচ্ছে ছিল এলাকার কচি কাঁচারা উচ্চ শিক্ষিত হোক। আর্থিক অনটন যেন কখনোই মেধা ছাত্র ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষায় বাধা না হয়ে ওঠে।মায়ের ইচ্ছা পূরণেই এই কাজ।
এই বিষয়ে নেতাজি বিদ্যাপীঠ বিদ্যালয়ের ভার প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অশোক দাস বলেন, আমাদের বিদ্যালয় সরকারি অনুদানে চলে। এই বিদ্যালয়ে জংশন এলাকার পাশাপাশি জয়েন্তী, রাজাভাতখাওয়া, মাঝেরডাবরি এই সব এলাকার ছাত্র ছাত্রীরাও পড়তে আসে। ফলে বিদ্যালয়ের পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক প্রতিকূলতার জেরে বিদ্যালয়ের নানান ধরনের ফিস একেবারেই ন্যূনতম রাখা হয়েছে। ফলে সারা বছর বিদ্যালয়ের ফিস থেকে যে অর্থ সংগ্রহ হয় তা দিয়ে বিদ্যালয়ে চালানোই বড় দুষ্কর। সেই জায়গায় অমলেশ চক্রবর্তী'র দেয়া অর্থ বিদ্যালয়ের কাজে না লাগলেও, বিদ্যালয়ে পাঠরত মেধা ছাত্র ছাত্রীদের অনেক কাজে লাগবে। এই ধরনের সহযোগিতা বিদ্যালয়ের দুস্থ মেধা ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষায় আরো উৎসাহিত করবে।
0 মন্তব্যসমূহ