রাজ্য সরকারের নির্দেশ আন্তজার্তিক সীমান্ত এলাকায় সরকারি পার্কিং তৈরি হবে পরিবহণ দপ্তরের অধীনে।
প্রায় দুবছর পূর্বে বাংলাদেশ সীমান্ত চ্যাংড়াবান্ধা থেকে জয়গাঁ ভুটানের পাশাখা সীমান্ত এশিয়ান হাইওয়ে 48 মহাসড়ক তৈরি হয়।এই সড়ক তৈরি হওয়ার পর জয়গাঁ সংলগ্ন দলসিংপাড়া এলাকায় চার-পাঁচটি বেসরকারি পার্কিং তৈরি হয়। কিন্ত সুত্রের খবর এই বেসরকারি পার্কিং গুলোর কাছে কোনো সরকারি অনুমতি বৈধ কাগজ নেই। বিনা অনুমতিতে এতদিন চলছিল পার্কিং।
ওপরদিকে জয়গাঁ সংলগ্ন এলাকার বেসরকারি পার্কিং-গুলি বন্ধ হওয়ায় সমস্যায় ট্রাক চালকেরা।কার্যতই রাস্তার একপাশে মাদুর পেতে বিশ্রাম,খাওয়াদাওয়া চলছে।বেসরকারি পার্কিং বন্ধ হওয়ায় পাসাখা সীমান্ত যাওয়ার রাস্তার দুধারে বাড়ছে পণ্যবাহী গাড়ির সংখ্যা।রাত বাড়তেই গাড়ির যন্ত্রাংশ চুরি যাওয়ার আতঙ্ক স্পষ্ট লক্ষ্য করা যায়।
সরকারি নির্দেশে গতকাল থেকে জয়গাঁ সংলগ্ন বেসরকারি পার্কিংগুলি ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছে।প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেসরকারি পার্কিং-এর সামনে টিন ও বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ভারত-ভুটান সীমান্ত জয়গাঁ এলাকাতেও শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে সরকারি পার্কিং।তার কাজ গতকাল থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে।এতদিন এই এলাকায় চার-পাঁচটি বেসরকারি পার্কিং ছিল। এই পার্কিংগুলিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ট্রাকগুলি দাঁড়াত।
প্রায় দুবছর পূর্বে বাংলাদেশ সীমান্ত চ্যাংড়াবান্ধা থেকে জয়গাঁ ভুটানের পাশাখা সীমান্ত এশিয়ান হাইওয়ে 48 মহাসড়ক তৈরি হয়।এই সড়ক তৈরি হওয়ার পর জয়গাঁ সংলগ্ন দলসিংপাড়া এলাকায় চার-পাঁচটি বেসরকারি পার্কিং তৈরি হয়।জয়গাঁ সংলগ্ন পাসাখা সীমান্ত যাওয়ার রাস্তাতে শুরু হয়েছে সরকারি ট্রাক টার্মিনাস তৈরির কাজ। মাটি সমান করার কাজ সেখানে চলছে।পাসাখা সীমান্ত যাওয়ার রাস্তায় নেই তেমন আলোর ব্যবস্থা।যারফলে আতঙ্ক বেড়েছে দ্বিগুন ট্রাক চালক ও পণ্য ব্যবসায়ীদের।বেসরকারি পার্কিং বন্ধ হওয়ার ফলে পাসাখা সীমান্ত যাওয়ার রাস্তার দুপাশে ভীড় বেড়েছে এক থেকে দেড়শো ট্রাকের।
এই বেসরকারি পার্কিং গুলিতে মিলছিল সবরকমের সুবিধা বলে জানিয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ট্রাক চালকেরা।বেসরকারি পার্কিং এ শৌচাগার ও থাকার ব্যবস্থা ছিল। পার্কিং বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বন্ধ হল সব সুবিধা।রাতে না ঘুমিয়ে ট্রাক পাহারা দিচ্ছেন চালকেরা।
গৌহাটি থেকে পণ্য নিয়ে আসা ট্রাক চালক রাধেশ্যাম গুপ্তা জানান,"হঠাৎ করে পার্কিং বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রাস্তায় বসে রান্নার জোগাড় করছি।রাস্তার একপাশে রান্না করব।ধুলোবালি পরে থাকা খাবার খাব।"
অরুন কুমার সিং নামের আরেক ট্রাক চালক জানান,"সরকারি পার্কিং চালু করে বেসরকারি পার্কিং বন্ধ করলে ভালো হত।রাত আতঙ্কে কাটছে।যেকোনো সময় অন্ধকার রাস্তায় গাড়ির ডিজেল ট্যাঙ্ক চুরি হতে পারে।"
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন